অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আরও চারজন উপদেষ্টা শপথ নিয়েছেন, ফলে উপদেষ্টাদের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২১ জনে। নতুন উপদেষ্টাদের দায়িত্ব বণ্টন এবং পূর্ববর্তী উপদেষ্টাদের দায়িত্ব পুনর্বণ্টন করা হয়েছে।
নতুন চার উপদেষ্টার মধ্যে ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদকে পরিকল্পনা ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে; মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানকে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে; লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীকে স্বরাষ্ট্র ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে; এবং আলী ইমাম মজুমদারকে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া, সালেহ উদ্দিন আহমেদকে অর্থ ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব, আসিফ নজরুলকে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব, আদিলুর রহমান খানকে শিল্প এবং গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব, রিজওয়ানা হাসানকে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব, নাহিদ ইসলামকে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব, আসিফ মাহমুদকে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব, ফারুক-ই-আজমকে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব, এবং ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেনকে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার (১৬ আগস্ট) উপদেষ্টাদের দায়িত্ব পুনর্বণ্টনের মাধ্যমে এম সাখাওয়াত হোসেনকে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে সরিয়ে দেওয়ার প্রতিক্রিয়ায় ব্রিগেডিয়ার সাখাওয়াত হোসেন ভয়েস অব আমেরিকাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, "এতে মন খারাপের কিছু নেই। আলহামদুলিল্লাহ, আমার যতটুকু করার ক্ষমতা ছিলো, তা আমি সম্পূর্ণরূপে করেছি।"
0 Comments