ads


"এস আলমের ১৮ প্রতিষ্ঠানের ভ্যাট ফাঁকি তদন্ত শুরু"

 


"এস আলমের ১৮ প্রতিষ্ঠানের ভ্যাট ফাঁকি তদন্ত শুরু"

এস আলম শিল্পগোষ্ঠীর ১৮টি প্রতিষ্ঠানের ভ্যাট ফাঁকির বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে চট্টগ্রাম কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট। মঙ্গলবার একটি বিশেষ তদন্ত দল গঠন করা হয় এবং তাদেরকে আগামী এক মাসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

চট্টগ্রাম কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেটের সূত্রে জানা গেছে, তদন্তের আওতায় থাকা প্রতিষ্ঠানগুলো হলো: এস আলম স্টিল লিমিটেড (ইউনিট-১, ২ ও ৩), চেমন ইস্পাত লিমিটেড, নিউ এস আলম শুজ অ্যান্ড বার্মিজ, এস আলম রিফাইন্ড সুগার, এসএস পাওয়ার লিমিটেড, অটোবোর্টস অটোমোবাইলস, প্লাটিনাম স্পিনিং মিলস লিমিটেড, এস আলম পাওয়ার প্ল্যান্ট লিমিটেড, এস আলম প্রপার্টিজ লিমিটেড, এস আলম কোল্ড রি-রোলিং মিলস, সাইনিং এসসেন্ট লিমিটেড, গ্র্যান্ড স্পিনিং মিলস লিমিটেড, মাসুদ প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং, ইনফিনিটি সি আর স্ট্রিপ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, এস আলম ব্যাগ ম্যানুফ্যাকচারিং মিলস লিমিটেড এবং ওশান রিসোর্ট লিমিটেড।

নতুনভাবে গঠিত ২০ সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত দলকে ২০১৯-২০ অর্থবছর থেকে ২০২৩-২৪ অর্থবছর পর্যন্ত সব ধরনের আয়-ব্যয়ের তথ্য সংগ্রহ করে নিরীক্ষা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

চট্টগ্রাম ভ্যাট কমিশনারেটের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, ভ্যাট ফাঁকি তদন্তের জন্য এসব প্রতিষ্ঠানের নিরীক্ষা করা হবে। আগে ইসলামী ব্যাংকসহ বিভিন্ন ব্যাংকের তথ্য পাওয়ার ক্ষেত্রে কিছু বাধা ছিল, যা বর্তমানে নেই। তাই যদি কোনো ভ্যাট ফাঁকির ঘটনা ঘটে থাকে, তা প্রকাশ্যে আসবে।

বিগত জুন মাসে ভ্যাট কর্মকর্তারা এস আলম গ্রুপের দুইটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে প্রায় সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকার ভ্যাট ফাঁকির প্রমাণ পেয়েছেন। প্রতিষ্ঠান দুটি হলো এস আলম ভেজিটেবল অয়েল লিমিটেড ও এস আলম সুপার এডিবল অয়েল লিমিটেড। এসব প্রতিষ্ঠান পণ্য বিক্রির তথ্য গোপন করে এবং উপকরণ কেনায় ভ্যাট ফাঁকি দিয়েছে। এস আলম ভেজিটেবল অয়েলের ভ্যাট ফাঁকির পরিমাণ ১,৯১১ কোটি টাকা এবং এস আলম সুপার এডিবল অয়েলের ১,৬২০ কোটি টাকা। এ বিষয়ে আদালতে মামলা চলমান।

এস আলম ও তাঁর পরিবারের ব্যাংক হিসাব তলব করা হয়েছে, যার মধ্যে সাইফুল আলম, তাঁর স্ত্রী ফারজানা পারভীন, মা চেমন আরা বেগম ও ভাই আবদুল্লাহ হাসানের হিসাবও অন্তর্ভুক্ত। এনবিআর এখন এস আলমসহ তাঁর পরিবারের বেশিরভাগ সদস্যের ব্যাংক হিসাবের তথ্য চেয়ে পাঠিয়েছে।

এস আলম, যিনি মূলত ব্যবসায়ী সাইফুল আলম নামেই পরিচিত, সাধারণত বিদেশে অবস্থান করেন। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে যে, তাঁর পরিবারের সদস্যরা সরকারি সংস্থার মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের আর্থিক অপরাধ করেছেন।

Post a Comment

0 Comments